ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়া

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - জীববিজ্ঞান - জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র | NCTB BOOK
2.2k

গাঁজানো বা ফার্মেন্টেশন (Fermentation)

অবাত শ্বসন ও ফার্মেন্টেশন এই দুটি প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা দূরহ। ফার্মেন্টেশন এক ধরনের অবাত শ্বসন। অবাত শ্বসনের রাসায়নিক বিক্রিয়া এনজাইমের সহায়তায় কোষের বাইরে কোন পুষ্টি দ্রবণে বা মাধ্যমে ঘটে তাই ফার্মেন্টেশন এ প্রক্রিয়া সাধারণত কতকগুলো ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীবে দেখা যায়।

ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার সমীকরণ নিম্নরূপ :

গ্লুকোজ → (জাইমেজ এনজাইম) 2C2H5OH + CO2 +(২১ কিলোক্যালরি শক্তি

 

 শ্বসনিক বস্তুঃ

সুক্রোজ প্রথমে ভেঙ্গে গুকোজ ও ফ্রুক্টোজ হয়ে গ্লাইকোলাইসিস-এ প্রবেশ করে। গ্লুকোজ সরাসরি শ্বসনিক বস্তু হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য মনোস্যাকারাইড প্রথমে গ্লুকোজে পরিণত হয়, পরে শ্বসনে প্রবেশ করে । স্টার্চ, গ্লাইকোজেন পালিমার প্রথমে ভেঙ্গে গ্লুকোজ সৃষ্টির মাধ্যমে শ্বসনিক বস্তু হিসেবে কাজ করে । ফ্যাট ভেঙ্গে গ্লিসারল এবং ফ্যাটি এসিড- এ পরিণত হয়। গ্লিসারল গ্লিসারেল্ডিহাইড-৩-ফসফেট হয়ে শ্বসনে অংশগ্রহণ করে, আর ফ্যাটি এসিড অ্যাসিটাইল Co- এ সৃষ্টির মাধ্যমে শ্বসন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে। প্রোটিন ভেঙ্গে অ্যামিনো এসিড তৈরি হয়; এর কতক অ্যাসিটাইল Co-A সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করে, আর কতক সাইট্রিক এসিড চক্রে প্রবেশ করে ।

শ্বসনিক হার বা শ্বসনিক কোশেন্ট (Respiratory Quotient, R.Q) নির্দিষ্ট সময়ে শ্বসনের ফলে নির্গত CO2 - এর পরিমাণ এবং গৃহীত অক্সিজেনের পরিমাণের অনুপাতকে শ্বসনিক হার (সংক্ষেপে R.Q) বলে৷ শ্বসনিক হার নিম্নোক্ত সমীকরণের মাধ্যমে হিসেব করা হয় ।

 

শ্বসনিক হার (R.Q) = O2 গ্রহণের পরিমাণ/CO2 ত্যাগের পরিমাণ 

শ্বসনের সময় তার শ্বসনিক বস্তু কি ছিলো তার উপর নির্ভর করে শ্বসনিক হার বিভিন্ন হয়। যেমন গ্লুকোজ জারণের সময় ৬ অণু অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং ৬ অণু CO2 পরিত্যাগ করে। সুতরাং গ্লুকোজের শ্বসন অনুপাত হবে :১

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ঘটতে পারে
এতে কোষের মধ্যে সৃষ্ট বিভিন্ন এনজাইম কোষের বাইরে নিঃসৃত হয়ে বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে
এটি কোষের বাহিরে হয়
দেহের অভ্যন্তরীণ গ্লুকোজ ব্যবহৃত হয়
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...